ঢাকা, রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, বললেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৮ মে ২০২৪  

বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, বললেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, বললেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রিভেলিয়ান বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ তার বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন করছে।

গতকাল সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন- আমরা এভিয়েশন খাতে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে এভিয়েশন শিল্পের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা শেয়ার করতে চাই। ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সম্পর্ক ও অংশীদারি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা এভিয়েশন খাতে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতিতে আনন্দ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। সেক্ষেত্রে এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নতুন টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন এয়ারপোর্ট দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সেখানে নিরাপত্তাসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করতে চাই। বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে ব্রিটিশরা বিনিয়োগের কথা বলেছেন। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে একত্রে কাজ করতে চায়। এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এ মুহূর্তে প্রধানত কথা হয়েছে আমাদের সিকিউরিটিদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে। এ প্রশিক্ষণের সঙ্গে বিনিয়োগও হতে পারে, যুক্ত হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতির। সেগুলো আমরা আগামীতে দেখব। মন্ত্রী বলেন, বেসামরিক বিমান খাতে কী করা যায়, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন যে এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়, আমাদের বোয়িং আছে। আমরা এয়ারবাস কেনার কথাও ভাবছি। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মূল্যায়ন টিম এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। এ ছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগ আছে। মন্ত্রী বলেন, তারা জানেন, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। তারা জানতে পেরেছেন, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি। এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের এভিয়েশনের অনেক কর্মকাণ্ড আছে। বিমান ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স এ তিন দেশ মিলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরই মধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে; সেগুলো আমরা বিবেচনা করব। এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায় বলেও জানান বিমানমন্ত্রী। তবে এ বিমান কিনতে কত টাকা লাগতে পারে, তা নির্ভর করবে কীভাবে প্রস্তাব আসে, তার ওপর। মন্ত্রী বলেন, বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এ মুহূর্তে বিষয়টিকে এত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এ মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। দুনিয়াতে প্রায় ৫০০-এর মতো ড্রিমলাইনার চলে। এক-দুজনের কথার ওপর ভিত্তি করে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তবে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক ও জানার চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়