বেলে আছে মূল্যবান রাসায়নিক উপাদান

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫০, ৮ মে ২০২৪

বেল (Wood apple) একটি কণ্টকাকীর্ণ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Aegle marmelos Correa। Rutaceae গোত্রের মাঝারি আকারের বৃক্ষ Aegle marmelos-এর সাদাটে গোলাকার ফল।

বেল অত্যন্ত পুষ্টিকর আর উপকারী ফল। কাঁচা পাকা দুটিই সমান উপকারী। বেল গাছ ২৫- ৩০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন ত্রিপত্রযুক্ত বহু শাখাপ্রশাখা যুক্ত। গ্রীষ্মকালে এর পাতা ঝড়ে যায়। ফুল ঈষৎ আভাযুক্ত শ্বেতবর্ণ, ছোট বোঁটায় অবস্থিত। ফল বড়, গোলাকার ও বহুবর্ষবীজযুক্ত। ফল মে মাসে হয়, পরের বছর মার্চ- এপ্রিল মাসে পাকে।

বেলের ফুলে মিষ্টি গন্ধ আছে। ফল বড়, গোলাকার, শক্ত খোসাবিশিষ্ট। ফলের ভিতরে শাঁস ৮-১৫টি কোয়া বা খণ্ডে বিভক্ত থাকে। প্রতিটি ভাগে বা খণ্ডে চটচটে আঠারো সাথে অনেক বীজ লেগে থাকে। কাঁচা ফলের রং সবুজ, পাকলে হলদে হয়ে যায়। ভিতরের শাঁসের রং হয়ে যায় কমলা বা হলুদ। পাকা বেল থেকে সুগন্ধ বের হয়। পাকা বেল গাছ থেকে ঝরে পড়ে। গাছ যখন ছোট থাকে তখন তাতে অনেক শক্ত ও তীক্ষ্ণ কাঁটা থাকে। গাছ বড় হলে কাঁটা কমে যায়। এই ফলের খোসা কাঠের মত শক্ত। বেল খাওয়া ছাড়াও নানা রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

রাসায়নিক উপাদান:

বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ এবং ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মতো মূল্যবান পুষ্টি উপাদান। এতে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও লৌহ রয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বেলের উপকারিতা:

১. বেলের শরবত হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
২. বেলে থাকা ভিটামিন ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে শক্তিশালী করে।
৩. ডায়রিয়া ও আমাশয় হলে কাঁচা বেল আগুনে পুড়ে আখের গুড়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৪. পাঁকা বেলের শরবত খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়।
৫. বেল পাতা বেটে মুখের ব্রণে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।
৬. জ্বরে বেশি প্রলাপ করলে বেল পাতা বেটে মাথায় প্রলেপ দিলে উপকার হয়।
৭. গায়ে দুর্গন্ধ হলে বেল পাতার রস গায়ে মাখলে দুর্গন্ধ দূর হয়।