ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতকর্মী খলিল কারাগারে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতকর্মী খলিল কারাগারে

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতকর্মী খলিল কারাগারে

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতকর্মী খলিলুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।  

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে সাভার এলাকায় র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৪ এর অভিযানে খলিলুরকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ২০১৫ সাল থেকে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই খলিলুর পলাতক ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি রাজধানীর দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেন।

গ্রেফতার এড়াতে তিনি নিয়মিত বাসা পরিবর্তন ও একা বসবাস করতেন। এমনকি যোগাযোগের জন্য তিনি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতেন না।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তখন তিনি পলাতক ছিলেন।

এর আগে, গত ১৮ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখার আদেশ দিয়েছিলেন। আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

শুরুর দিকে এ মামলায় আসামি ছিলেন পাঁচজন। এর মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বাকি চারজন হলেন- নেত্রকোণার দুর্গাপুর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী ও জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ।

তবে বিচার চলাকালে বাকি তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে খলিলুর ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

আইন-আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়