সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বদলি হজ করানো, কী বলে শরিয়ত?
নিউজ ডেস্ক
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বদলি হজ করানো, কী বলে শরিয়ত?
ইসলাম ধর্মের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম হলো হজ। মুসলিম উম্মাহর অন্যতম ইবাদত। সম্পদশালী হওয়া আর শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়া এ ইবাদতের প্রথম শর্ত।হজের সওয়াব ও ফজিলত সম্পর্কে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে, অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মকবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়’। (বুখারি ১-২০৬)
যার উপর হজ ফরজ হয়েছে এবং হজ আদায়ের শারীরিক সক্ষমতাও আছে তার নিজে হজ করা জরুরি। এক্ষেত্রে অন্যকে দিয়ে বদলী হজ করানো জায়েয নয়। বদলী করালে এর দ্বারা তার ফরজ হজ আদায় হবে না। (হিদায়া ১/২৯৬; আলবাহরুল আমীক ৪/২২৩৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৪)
কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, وَ لِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا وَ مَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللهَ غَنِیٌّ عَنِ الْعٰلَمِیْنَ
অর্থ: ‘মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ করা তার জন্য অবশ্যকর্তব্য। আর যে এই নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন’। (সূরা: আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, تَعَجّلُوا إِلَى الْحَجِّ يَعْنِي الْفَرِيضَةَ فَإِنّ أَحَدَكُمْ لَا يَدْرِي مَا يَعْرِضُ لَهُ
অর্থ: ‘তোমরা দ্রুততর সময়ের মধ্যে ফরজ হজ আদায় কর। কেননা তোমাদের কেউই একথা জানে না যে, আগামীতে তার ভাগ্যে কী আছে’। (মুসনাদে আহমাদ ২৮৬৭)
উমর (রা.) বলেন, من أطاق الحج فلم يحج، فسواء عليه يهوديا مات أو نصرانيا
অর্থ: ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ করল না তার ইহুদী হয়ে মৃত্যুবরণ করা আর খ্রিস্টান হয়ে মৃত্যুবরণ করা সমান কথা’। (তাফসিরে ইবনে কাসির ২/৮৪)
- ইসলাম পুরুষকে যে স্বভাবগুলো বাদ দিতে বলে
- নবীজি (সা.) এর প্রতি দরূদ পড়ার ফজিলত
- মহানবী সা. মিসওয়াক করতেন যেভাবে
- কোরআন হাত থেকে পড়ে গেলে ওজন করে সদকা করা কি জরুরি?
- বায়তুল্লাহকে যে কারণে হারাম শরিফ বলা হয়
- নেক আমলের কারণে দুনিয়ায় যে উপকার পাবেন
- ভুল সংশোধনের ইসলামি পদ্ধতি
- নামাজে বড়দের কাতারে শিশুদের দাঁড়ানোর বিধান
- জীবনে একবার হজ ফরজ
- পিরিয়ডকালে রোজার বিধান