ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীতে উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে সামাজিক দৃশ্যপট

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হওয়ায় উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। এক সময়ের গারো পাহাড়ের অবহেলিত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল নালিতাবাড়ী। এখন এই উপজেলার সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লাগায় পাল্টে যাচ্ছে এর আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপট।

সুত্রে জানা গেছে, শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলাটি যোগাযোগ ও শিক্ষা সংষ্কৃতিসহ নানা দিক থেকে পিছিয়ে ছিল। শেরপুর-২ সংসদীয় এ আসনে (নকলা-নালিতাবাড়ী) বিগত ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী।

বর্তমানে তিনি এই আসনের এমপি। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের উপনেতার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার হাতের ছোঁয়ায় এখন নালিতাবাড়ীর প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। দরিদ্র অসহায় মানুষ ফিরে পেয়েছে কর্মসংস্থান। উন্নয়ন হয়েছে বিদ্যুত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাটসহ সকল ক্ষেত্রে। ফলে অবহেলিত সীমন্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলাটি এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উল্লেখযোগ্য এসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডগুলো হলো-দেশের অন্যতম নাকুগাঁও স্থলবন্দরকে পুর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, মধুটিলা ইকোর্পাককে সরকারী ইকোপার্ক হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা, খরশ্রোতা ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে পৃথক ৩টি রাবারড্যাম স্থাপন, নালিতাবাড়ী পৌরশহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, শহীদ আব্দুর রশিদ মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা, নাকুগাঁও ভোগাই ব্রীজ ও বুরুঙ্গা ব্রীজ স্থাপন, সীমান্ত মহাসড়ক তৈরি, নকলা থেকে নাকুগাঁও স্থলবন্দর পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার মহাসড়ক তৈরি, পৌর শহরে সার্জেন্ট আহাদ স্মৃতি প্রাঙ্গন নির্মাণ, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার (বিনা) ধান গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন, মরিচপুরান টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা, কাঁকরকান্দি ইউনিয়নে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজ প্রতিষ্ঠা, নয়াবিল ইউনিয়নের হাতিপাগার থেকে তিনআনী বাজার টেংরাখালী মোড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়ক দুই লেনে উন্নীতকরণ, দর্শা খাল, ব্রজমালা খাল ও বুড়ি ভোগাই খাল পুণঃখননের মাধ্যমে অনাবাদি জমি সেচের আওতায় আনা, ধরা খাল সংস্কার, মরিচপুরান ইউনিয়নের পিছলাকুড়ি ভোগাই ব্রীজ নির্মাণ, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ প্রধান সড়ক পাকা করা, নিচপাড়া থেকে কালাকুমা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ও ভোগাই নদীর বাঁধ নির্মাণ, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া ও কৃষকের জন্য সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ডাগওয়াল বা পাতকুয়ার মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করা।

এছাড়া দেশব্যাপী বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে পৌরশহরের আড়াইআনী বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন, টিআর এর টাকায় প্রায় অর্ধশত হলোস্টিল ব্রীজ নির্মাণ, অসংখ্য ছোট ও মাঝারি পাকা ব্রীজ নির্মাণ, উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন নির্মাণ, উপজেলা অডিটরিয়াম নির্মাণ, কৃষি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ, পৌরসভার নিজস্ব ভবন নির্মাণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শহীদ নাজমুল স্মৃতি কলেজকে সরকারীকরণ, তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে মডেল এবং সরকারীকরণ, টিআর-কাবিখা’র টাকায় বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে সোলার ল্যাম্প বিতরণ। সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিবছর উদ্দীপনা পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান করা চলমান রয়েছে। ফলে নালিতাবাড়ী উপজেলা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী নকলা উপজেলাও।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান, সংসদ উপনেতা অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরীর হাত ধরে নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিভিন্নখাতে যে পরিমান উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তা আগামী প্রজন্মকে অরো কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। এমতাবস্থায় এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তারা।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়