ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফের ময়মনসিংহ নগরীতে ভোটের হাওয়া

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ থাকতেই বেজে উঠেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনের ডামাডোল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে নগরীর সর্বত্রই ফের বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া।  ইতোমধ্যে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজেদের জানান দিতে শুরু করেছেন।

আগামী ৯ মার্চ মসিকের ভোটগ্রহণের তারিখ জানিয়ে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো, সিটি নির্বাচনেও বিএনপি অংশগ্রহন করবে না বলে জানিয়েছে দলটির স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি প্রতিহত করতেও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে রাজপথে থাকার ঘোষণা তাদের।

জানতে চাইলে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহন করবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমাদের একই সিদ্ধান্ত রয়েছে। সিটি নির্বাচন বর্জনের আহ্বানের পাশাপাশি প্রতিহতের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় যে কর্মসূচি আসবে, আমরা সেটিই অনুসরণ করব।

তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপি না এলেও ভোট হবে জমজমাট। সিটি নির্বাচনে তিনটি স্তরে ভোট হওয়ায় আরো বেশি ভোটার কেন্দ্রে যাবেন বলে তাদের আশা। ভোট উৎসবমুখর করতে নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতিও।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, ‘আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। দলীয়ভাবে না আসলেও স্বতন্ত্রভাবে যেন করুক। তবে যদি নাই আসে তাহলে আমাদেরই একাধিক প্রার্থী থাকবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে।’

আগামী সিটি নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ইকরামুল হক টিটুর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকে বেশ কয়েকজন প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেক খান মিল্কি টজু এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও প্রয়াত পৌর মেয়র মাহমুদ আল নূর তারেকের ছেলে ফারমার্জ আল নূর রাজীব।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি স্থানীয় নির্বাচন। এক্ষেত্রে স্থানীয় সাধারণ নাগরিক আছেন তাদের সঙ্গে এটি ওতপ্রতোভাবে জড়িত। এছাড়া এখানে যেহেতু মেয়র পদের পাশাপাশি কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর-এই তিনটি স্তরে নির্বাচন হবে, সেহেতু স্বাভাবিক অর্থেই ভোটাররা আরো বেশি উপস্থিত হবেন। এতে উৎসবমুখ পরিবেশে নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি।’

নগরের উন্নয়ন, ‘ক্লিন ইমেজ’ ও জনসম্পৃক্ততা বিবেচনায় দলীয় মনোনয়নসহ ভোটের মাঠে বর্তমান সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু এগিয়ে আছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দাদের সঙ্গে মেয়রের আন্তরিকতা ও আধুনিক নগরী গড়ার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে আসন্ন নির্বাচনে ভোটাররা মেয়র টিটুর দিকেই বেছে নিবেন বলে তারেদ মত।

২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর ময়মনসিংহ পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনের ঘোষণার গেজেট প্রকাশ হয়। এরপর ২০১৯ সালের ৫ মে এই সিটি করপোরেশনের প্রথম ভোট হয়। তবে ওই নির্বাচনে বিএনপি থেকে বা বিরোধী কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনাভোটেই মেয়র নির্বাচিত হন মো. ইকরামুল হক টিটু।

৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৯১ দশমিক ৩১৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ময়মনসিংহ নগরীতে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৮ জন। প্রথমবার ভোটে ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে শুধু মসিকের ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১১টি সংরক্ষিত কাউন্সিল পদে ভোট হয়েছিল।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়