স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীর অংশগ্রহণ অপরিহার্য : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীর অংশগ্রহণ অপরিহার্য : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর যে সোনার বাংলা গড়ে তোলার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে গেছেন, সেই পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন-২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নারীর অংশগ্রহণ অপরিহার্য।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘এমপাওয়ারিং গার্লস উইথ আইসিটি স্কিলস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক বঙ্গমাতা বক্তৃতামালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনস্থ মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের আয়োজনে বক্তৃতামালা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ৭৫তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছেন-২০৪১ সালের মধ্যে শ্রমশক্তিতে নারী পুরুষের অংশগ্রহণ ৫০:৫০ এ উন্নীত করতে হবে। বৈশ্বিক জেন্ডার গ্যাপ-২০২৩ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন্ডার সমতা অর্জনে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৯তম যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করে আছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের জীবন বিদ্যুতের গতিতে এগিয়ে চলেছে। সরকার শুধু প্রধান শহরে নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রযুক্তিকে আরও সহজলভ্য করেছে। সব বয়সের নারী-পুরুষসহ আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই সেক্টরে যুক্ত হচ্ছেন এবং নতুন সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছেন। নারীরা বিশেষ করে এর থেকে উপকৃত হচ্ছেন কারণ এটি তাদের আরও স্বাবলম্বী হতে এবং কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে সহায়তা করছে। প্রযুক্তি আমাদের সমাজে নারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। সরকার বিশ্বাস করে যে ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক নারী প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রায় ১৫ শতাংশ নারী কাজ করছেন। নারী বান্ধব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সেবাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীকে তথ্য ও প্রযুক্তিতে অন্তর্নিবেশ করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে মোট ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ লাখ যার ৯ শতাংশ নারী। আবার মোট উদ্যোক্তাদের শতকরা ৩১.৬১ শতাংশ নারী। বাংলাদেশের সাতটি বিভাগের ১৬টি জেলার ৫০ জন প্রতিবন্ধী নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের ব্যবসার উন্নয়ন হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে। গত কয়েক বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষ শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি নারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছেন। আমরা কিছুদিন আগে উপাচার্যের বাসভবনে সর্বোচ্চ ফলাফলকারী শিক্ষার্থীদের একটি সংবর্ধনা দিয়েছিলাম। যেখানে ১০টি অনুষদের মধ্যে ৯টি অনুষদের সর্বোচ্চ ফলাফল করা শিক্ষার্থীরাই ছিল নারী। এগুলো শুধু সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নারীর উন্নয়নের লক্ষ্যে হাতে নেওয়া কর্মসূচিগুলোর কারণে।অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসিফ হোসেন খান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের বাইরে কাজ করার খুব একটা সুযোগ থাকে না। নানান সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এখানে কাজ করে। সেক্ষেত্রে আউটসোর্সিংয়ের দিকে মেয়েদের উৎসাহিত করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এখানে একইসাথে একটা মেয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজের পাশাপাশি উপার্জনের সুযোগ থাকে। আমাদের পাশের দেশে যেখানে মোট জিডিপির ৩০ পার্সেন্ট আসে আউটসোর্সিং থেকে সেখানে দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশে এর হার মাত্র সাড়ে ৩ পার্সেন্ট। এটার দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন। স্বাগত বক্তব্য ও ধন্যবাদ জানান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া হক। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- মাছ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সার্বিক সহযোগিতা করবে সরকার : মৎস্যমন্ত্রী
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে রেকর্ড সংখ্যক পর্যবেক্ষক
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- 2024 election was the fairest since 1975: PM
- দ্রুত এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ
- সুষ্ঠু নির্বাচনে সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান ১৫২ বাংলাদেশি
- মানবিক নারী পুতুল ও অটিস্টিক শিশুদের নতুন ভোর