ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি আগামী ২৮ মে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ২৫ মার্চ ২০২৪  

খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৮ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।গতকাল রোববার কেরানীগঞ্জ কারাগারের নবনির্মিত ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আকতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

এদিন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার আইনজীবী তার পক্ষে হাজিরা প্রদান করেন। এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৮ মে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন।খালেদা জিয়ার আইনজীবী শেখ শাকিল আহমেদ রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। এরমধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অন্য আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান।

বর্তমানে খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য ৯ আসামি হলেন- সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রো বাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদক উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়।

আইন-আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়