ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগে বোরোর বাম্পার ফলন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২৯ এপ্রিল ২০২৪  

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগে বোরোর বাম্পার ফলন

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগে বোরোর বাম্পার ফলন

সুষম মাত্রায় অল্প পরিমানে সার প্রয়োগ করে বোরো ধানের অধিক ফলন পেয়েছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামের কৃষক মো: রবিউল ইসলাম।মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরামর্শ ও সহায়তায় তিনি প্রতি শতাংশ জমিতে ৪৮০ গ্রাম টিএসপি, ৮৮০ গ্রাম ইউরিয়া, ২৬০ গ্রাম এমওপি, ২১০ গ্রাম জিপসাম ও ৪০ গ্রাম হারে দস্তা ব্যবহার করে তার বোরো ধানের প্রদর্শনীতে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।         

আজ সোমবার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে কৃষক মো: রবিউল ইসলামের জমিতে বোরো হাইব্রীড ধানের প্রয়োগিক ট্রায়ালের উপর মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে এ তথ্য জানানো হয়।  

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জের ইনচার্জ (উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা) এস এম আশিক ইকবালের সভাপতিত্বে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের  প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসিনা আক্তার,  কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত উপ পরিচালক বিধান রায় ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রাকিবুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আশিক ইকবাল বলেন, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সুষম মাত্রায় সার ব্যাবহার করলে সার কম প্রয়োজন হয় এবং ফসলের উৎপাদনও ভলো হয়। অন্যদিকে মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে আন্দাজ করে বেশি মাত্রায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন যেমন ব্যহত হয় তেমনই ধীরে ধীরে মাটির উর্বরতা কমে গিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এত কৃষকের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে। 

তাই জমির মাটি পরীক্ষা করে সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারের আবশ্যকতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে কৃষকদের এ ধরনের সহায়তা বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।  

প্রদর্শনীর কৃষক মো: রবিউল ইসলাম বলেন, আমি পূর্বে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করে যে ফলন পেয়েছি এবং এবার মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের পরামর্শে তাদের দেয়া কম পরিমানের সার ব্যবহার করে বেশি ফলন পেয়েছি।  

এই মাঠ দিবসে অংশ নেয়া আরেক কৃষক গোলাম কিবরিয়া বলেন, তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় সার ব্যবহার করে তার ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে, অনেক জায়গায় তার জমির ধান পুড়ে গেছে আবার অনেক জায়গায় ধান চিটা হয়ে গেছে। মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটের মাধ্যমে অল্প সার প্রয়োগে প্রদর্শনী কৃষকের ধান অনেক ভালো হয়েছে। সার কম ব্যবহার করায় তার খরচও অনেক কমে গেছে। 

অনুষ্ঠানে, মৃত্তিকা বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট  গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে কৃষকের মাঠে বোরো হাইব্রীড ধানে সুষম মাত্রায় সার ব্যাবহারের প্রয়োগিক ট্রায়াল কৃষকদের ঘুড়িয়ে দেখানো হয়। এসময় টুঙ্গিপাড়ার ৩০ জন কৃষক ও কৃষানী অংশ নেন।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়