ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

জানলে চমকে যাবেন, যে গ্রামে পুরুষরা দুটি বিয়ে না করলে শাস্তি পেতে হয়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৫, ৭ এপ্রিল ২০২৪  

জানলে চমকে যাবেন, যে গ্রামে পুরুষরা দুটি বিয়ে না করলে শাস্তি পেতে হয়

জানলে চমকে যাবেন, যে গ্রামে পুরুষরা দুটি বিয়ে না করলে শাস্তি পেতে হয়

ভারতের বুকেই এমন গ্রাম রয়েছে, যেখানে দুই বিয়ে করেন পুরুষরা। এটা রীতি হয়ে গিয়েছে সেই গ্রামে। আর এই দুই বিয়ের রীতির থেকেও দুই বিয়ের কারণ জানলে জাস্ট চমকে যাবেন। ভাববেন, এমনটাও হয়? কিন্তু এমনটাই হয়ে আসছে, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। 

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কত না কিছু ঘটে যাচ্ছে। কত আজব ঘটনা, তার কোনো হিসেবে নেই। নানা মজার গল্প, বিস্ময় কাহিনি লুকিয়ে পয়েছে পরত পরতে। কত রীতি-নীতি, যা মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। এখানে এমনই এক গ্রামের কথা বলব, যা আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে অবিশ্বাস্য, তবে এটাই সত্যি! 

সেই গ্রামের ঠিকানা আগে জেনে নিন, সেই গ্রামের ঠিকানা, যেখানে পুরুষরা দুই বিয়ে করেন। এটাই রীতি, বরং দুই বিয়ে না করতে চাইলে আপনি গ্রাম থেকে বিতাড়িত হবেন। আপনাকে একঘরে হয়ে যেতে হবে। 

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে রয়েছে এই গ্রাম। রাজস্থানের বাড়মের জেলার অন্তর্গত এই গ্রাম। ছোট্ট এই গ্রামটির নাম দেরাসর। প্রায় ৬০০ জনের বাস গ্রামে। এই গ্রামেই রয়েছে অদ্ভুত সেই রীতি। দেরাসরের প্রতিটি পুরুষের অন্তত দু-জন করে স্ত্রী রয়েছেন। 

তা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও তার থেকেও অনেক বেশি অদ্ভুত বা বিস্ময় মনে হবে এই রীতির পিছনে কারণ জানলে। 

এই দেরাসর গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস প্রথম স্ত্রীর কোনো সন্তান হবে না। সন্তানের মুখ দেখতে গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করতে হবে। এই অদ্ভুত বিশ্বাস থেকেই প্রথম বিয়ের পরই দ্বিতীয় বিয়ে সেরে নিয়ে হয় এই গ্রামের পুরুষদের। 

এই রীতির সূত্রপাত পূর্বের একটি ঘটনা থেকে। গ্রামেরই এক ব্যক্তির কিছুতেই সন্তান হচ্ছিল না। তারপর দ্বিতীয় বিয়ে করতেই তাঁর সন্তানলাভ হয়। এরপর বেশ কয়েকজনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে। তখন থেকেই গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ের রেওয়াজ শুরু হয়ে যায়। পুরুষের বহুবিবাহ রীতি গ্রামের রীতিতে পরিণত হয়ে যায় ক্রমে। 

তবে এই রীতির পিছনে আরো একটি কারণ রয়েছে বলে এলাকায় প্রচারিত রয়েছে। এই দেরাসর গ্রামে তীব্র জলের সঙ্কট। অন্তত পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে পরিবারের মহিলাদের জল আনতে হয়। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের পক্ষে এত রাস্তা হঁটে জল আনা অসম্ভব। সেই কারণেই দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন পুরুষরা। এই গ্রামে এমনটাই প্রচার রয়েছে যে, প্রথম স্ত্রীকে সে অর্থে কোনো অধিকার দেওয়া হয় না। তারা বাড়িতে পরিচারিকার মতো থাকেন। এমনকী তাঁকে বলা হয় জল স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী সারা জীবনে সন্তান ধারণের অধিকার পান না। স্বামীর সঙ্গে শারীরিত সম্পর্ক স্থাপনের অধিকার নেই তাঁদের। কোনো পুরুষ এই রীতির বিরোধিতা করা হলে তাঁর বিরুদ্ধে পুরো গ্রাম একজোট হয়ে যায়। নিজের পরিবারও তাঁকে ত্যাগ করে। গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয় সেই পুরুষকে। দ্বিতীয় স্ত্রীও যদি সন্তান ধারণ না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে স্বামীকে আরো একটি বিয়ে করতে হয়। এই রীতি চলে আসছে বছরের পর বছর।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়