পরচুলা তৈরি করে স্বাবলম্বী পাবনার নারীরা
অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় নারীদের তৈরি পরচুলা বা হিউম্যান হেয়ার টুপি রপ্তানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। কারখানায় কাজ করে নারীদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও পরিবারে বাড়তি অর্থের জোগান দিচ্ছেন। নারীদের হাতে তৈরি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে চীন, জাপান, ভারত, দুবাই, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, লেবানন, কোরিয়া, মিসর, ইউরোপের কিছুসহ অন্তত ২৫টি দেশে।
সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর টাংবাড়ি ও বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের রাকসা, চকপাড়া গ্রাম, পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বকচরসহ পাঁচটি বাড়িতে পরচুলার কারখানা রয়েছে। সরেজমিন নতুন ভারেঙ্গার রাকসা গ্রামের সোহেল রানা ও চকপাড়ার রহিমা খাতুনের কারখানায় দেখা যায়, স্থানীয় শতাধিক নারী ও শিক্ষার্থীরা পরচুলা তৈরিতে ব্যস্ত। এ কাজের মাধ্যমে প্রতি মাসে তারা ৮-১০ হাজার টাকা আয় করছেন।
কারখানা মালিক ও কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি টুপি বানাতে সময় লাগে দুই থেকে তিন দিন। একজন মাসে ৮ থেকে ১০টি টুপি বানাতে পারেন। এতে প্রকারভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি দেওয়া হয়। আকার অনুযায়ী প্রতিটি টুপিতে ২০ থেকে ৫০ গ্রাম পর্যন্ত চুল লাগে।
পরচুলার টুপি তৈরিতে লাগে মাথার ডামি, চুল, নেট, সুচ, সুতা, চক ও পিন। প্রতিটি টেবিলে স্ক্রুর সাহায্যে আটকানো আছে প্লাস্টিকের ডামি মাথা। ডামি মাথার ওপর রয়েছে নেট। নেটের ফাঁকে ফাঁকে সুচের ফোঁড়ে খুব মনোযোগ দিয়ে আটকানো হয় একেকটি চুল। ডামির পুরো মাথায় সূক্ষ্মভাবে চুল আটকানো সম্ভব হলেই টুপি তৈরির কাজ শেষ। প্রতিটি টেবিলে মুখোমুখি হয়ে চার থেকে ছয়জন কাজটি করেন।
সোহেলের কারখানার কারিগর সোহানা খাতুন দুই বছর ধরে কাজ করেন। প্রতি মাসে তাঁর আয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। রহিমা খাতুনের কারখানার কারিগর অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া রেশমা আক্তার বলে, স্কুল থেকে ফিরে প্রতিদিন বিকেলে তিন থেকে চার ঘণ্টা কাজ করি। একটা কাজের মজুরি হিসেবে ১ হাজার ২০০ টাকা পাই।
রাকসা গ্রামের কারখানার মালিক সোহেল রানা বলেন, ‘আমার স্ত্রী সিমা আগে ঢাকায় একটি কারখানায় কাজ করতেন। বাড়ি ফিরে তিন বছর আগে এ কারখানা স্থাপন করেন। টুপি তৈরির এসব উপকরণ তিনি ঢাকা থেকে নিয়ে আসেন। পরচুলা তৈরি করে আবার ঢাকায় পাঠানো হয়। তাঁর কারখানায় প্রায় ১০০ নারী শ্রমিক কাজ করেন। সরকার সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা দিলে কাজের প্রসার ঘটানো যেত।’
গাজীপুরের বাগবাড়ি কাশিমপুরের এসএস হেয়ার উইগ বিডি কোম্পানির মালিক শাহ আলম জানান, বিদেশে পরচুলার ভালো চাহিদা। খরচ বাদে বছরে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় হয়। বড় কোম্পানিগুলো মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করে।
ঢাকার আবাবিল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট হেয়ারের ব্যবস্থাপক অর্পণা জাহান বলেন, ‘আমরা ঢাকা ছাড়াও পাবনা, ময়মনসিংহ, নীলফামারী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পরচুলা সংগ্রহ করে রপ্তানি করে থাকি। গার্মেন্টসের মতো এ খাত শক্ত করা গেলে আরও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে।’
পরচুলা কারখানার কর্মীদের প্রশিক্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন বেড়া উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা।
- আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে: মেয়র টিটু
- ২ মন্ত্রী পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ
- কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে প্রাথমিক পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
- ময়মনসিংহের হোটেল ও রিসোর্ট এর তালিকা সমূহ
- ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বোধন হবে শতাধিক প্রকল্প
- ফের ময়মনসিংহ নগরীতে ভোটের হাওয়া
- ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলে প্রতিটি কাঁঠাল গাছে শোভা পাচ্ছে মুচি
- বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের সানজিদা
- ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মণ্ডা, স্বপ্নে পাওয়া মিষ্টির সুনাম ২০০ বছরেও কমেনি