ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

বাজেটে গুরুত্ব পাবে রিজার্ভ বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ৪ এপ্রিল ২০২৪  

বাজেটে গুরুত্ব পাবে রিজার্ভ বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ

বাজেটে গুরুত্ব পাবে রিজার্ভ বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ডলারের সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারা এবং অব্যাহতভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসাসহ বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সভায় বসছে সরকারের অর্থনীতিবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক পর্ষদ ‘আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল’। সভায় দেশ-বিদেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রিজার্ভ বৃদ্ধিকে প্রধান্য দেওয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

সরকারের আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিললের সভা প্রতি অর্থবছরে দুবার অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। একটি হয়ে থাকে ডিসেম্বরে, অন্যটি এপ্রিল মাসে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে আজকের সভায় কৃষিমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও অর্থ, এনবিআর, বাণিজ্য, কৃষি ও পরিকল্পনা সচিবরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তখনকার অর্থমন্ত্রী দেশের মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলেন। তবে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সেটি ঠিক রাখা যাচ্ছে না। অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হচ্ছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সূত্র জানায়, কো-অর্ডিনেন্স কাউন্সিলের সভায় সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি), রপ্তানি, আমদানি, রাজস্ব আদায়, মূল্যস্ফীতি, রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। অন্যদিকে বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকে চলতি অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন পরিস্থিতি ও জিডিপি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ফেব্রুয়ারি মাস শেষে দেশে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। এক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, আমদানি শুল্ক কমানো, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি প্রণয়ন, ব্যাংক ঋণের সুদ বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়, বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়া- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসব কৌশলের একটিও ঠিকমতো কাজ করছে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর দিতে হবে। ব্যয় কমাতে হবে। সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। রিজার্ভ বাড়াতে হবে। আগামী অর্থবছরে ন্যূনতম ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার বাড়াতে হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়