ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে ব্যাংক

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৩ মার্চ ২০২৪  

ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে ব্যাংক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

কোনো ব্যাংক একীভূত হলেও তার আমানতকারীদের স্বার্থের কোনো হানি হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো চাইলে স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। এরপর আগামী বছরের মার্চে নীতিমালা অনুযায়ী যারা দুর্বল তালিকায় পড়বে, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক চর্চা অনুসরণ করে কোনো পদ্ধতিতে ও কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যাংক একীভূত হবে, তা নিয়ে প্রণয়ন করা হবে নীতিমালা।

ব্যাংক একীভূত হওয়া ও দুর্বল ব্যাংক নিয়ে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়ায় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এই তথ্য জানিয়েছেন।
মেজবাউল হক বলেন, ব্যাংক একীভূত হওয়া নিয়ে নানা ধরনের অনুমানভিত্তিক কথা হচ্ছে। যে প্রক্রিয়ায় ব্যাংক একীভূত হোক না কেন, এতে আমানতকারীদের স্বার্থের কোনো হানি হবে না। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থও দেখা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, যেসব ব্যাংক একীভূত হবে, ওই ব্যাংকগুলোর স্বাস্থ্য ভালো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এরপরই একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ব্যাংক একীভূত হলে তা হবে যথাযথ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। একীভূত হলে ভালো ব্যাংক যাতে দুর্বল না হয় ও দুর্বল ব্যাংক যাতে ভালো হয় এ দুটিই দেখা হবে।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ব্যাংকগুলোকে লাল, হলুদ ও সবুজ তালিকাভুক্তি প্রসঙ্গে মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি কম্পোনেন্ট নিয়ে দুর্বল- সবল ব্যাংকের তালিকা করেছে। এটা আমাদের নিজস্ব রিসার্চের জন্য করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার জন্য নয়। তা ছাড়া কোন ব্যাংক দুর্বল এটা তো জানা। শেয়ারবাজার থেকেও চিত্র আপনারা দেখতে পান। মুখপাত্র বলেন, আমাদের সব রিপোর্ট পাবলিকের জন্য করা হয় না। বেশ কিছু রিপোর্ট জাতীয় স্বার্থে গোপন করতে হবে।ব্যাংকগুলোর ওপর ক্যামেলস রেটিং কখনো পাবলিক হওয়ার জন্য নয়, এটা গোপনীয় আমাদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন কম্পোনেন্ট নিয়ে অ্যাসেসমেন্ট করে। রেগুলার ফাইন্যান্সিয়াল রিস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য করা হয়, এটা প্রকৃত হেল্থ ইন্ডিকেটর নয়। এ সময় তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলোকে শ্রেণিকরণ করতে একটা পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক করেছি। যেখানে চারটি ক্যাটাগরিতে ব্যাংকগুলোকে মূল্যায়ন করা হবে। চলতি বছরের ব্যালেন্স শিটের ওপর ভিত্তি করে এটা করা হবে। যেটা কার্যকর হবে ২০২৫ এর মে মাস থেকে। 
ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে মোট ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বল ও সবল ব্যাংকের গোপন এ তালিকা রিসার্চের জন্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 
ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে, এমন আলোচনার মধ্যে ৪ মার্চ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে। 
এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দেয়, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংক সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে আগামী বছর থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে। ওই বৈঠকে আরও জানানো হয়, দুর্বল ব্যাংকের খারাপ সম্পদ (ঋণ) কিনে নেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি (এএমসি)। ফলে একীভূত হওয়ার কারণে ভালো ব্যাংকগুলোর খারাপ হয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালকেরা ভালো ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়