ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

বান্দরবানে পাহাড়ের মাঝে টানেল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১৩, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে পাহাড়ের মাঝে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন টানেল। জেলা সদরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ছোট হওয়ায় সেখানে প্রবেশের জন্য নির্মাণ করা হয় টানেল।জেলা শহরের প্রবেশ মুখে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গত ২৭ অক্টোবর উদ্বোধনের মাধ্যমে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় যান চলাচল ও জনসাধারণের জন্য।

টি চালু হওয়ায় পর্যটন শহর বান্দরবানের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়র মাঝখানে নির্মিত ৫শ’ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৮ মিটার প্রস্থ টানেলটি দেখতে এখন প্রতিদিন ভিড় করছেন শতশত পর্যটক। এ  টানল উদ্বোধন হওয়ায় চালু হবে নতুন বাস টার্মিনাল। এতে লাঘব হবে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি, সড়কে ফিরবে শৃঙ্খলা।

বর্তমান বাস টার্মিনালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টার্মিনালকে সংযুক্ত করা হয়েছে এ টানেলের মাধ্যমে। এর ভেতর দিয়ে সবধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাতেরও ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন বাস টার্মিনালের সঙ্গে পুরাতন বাস টার্মিনালের সংযোগ স্থাপন করেছে এ টানেল। এতে দুই প্রান্তের দূরত্ব কমেছে প্রায় দুই কিলোমিটার।

টানেলটির নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএম ট্রেডার্সের মালিক রাজু বড়ুয়া বলেন, আমরা কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকেই খুব দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করেছি। এর ভেতরে আধুনিকমানের ২৪ ফুট চওড়া সড়ক ও তিন ফুট চওড়া ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এই কাজটি শেষ হওয়ায় বর্তমান বাস টার্মিনালে যানজট কমে এসেছে। পাশাপাশি এলাকাটিতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধের আশঙ্কা কমে গেছে। এছাড়া পার্বত্য এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো একধাপ এগিয়ে গেছে এর মাধ্যমে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, এই টানেল বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক। এটি চালু হওয়াতে বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই সহজ হয়েছে। দুই দফায় মোট ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০০ ফুট দীর্ঘ এই টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথম দফায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তখন ৩০০ ফুট দীর্ঘ টানেল হওয়ার কথা ছিল। পরে প্রকল্প সংশোধন করে টানেলটি আরো ২০০ ফুট বাড়িয়ে মোট ৫০০ ফুট দীর্ঘ করা হয়। বরাদ্দ বৃদ্ধি পায় আরো ছয় কোটি টাকা।

তিনি আরো বলেন, টানেলটি পার হয়েই সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বান্দরবান কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। খুব শিগগিরই টার্মিনালের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা সহজেই বান্দরবান সদর এলাকায় না প্রবেশ করেই রুমা, থানচি, চিম্বুকসহ নানান এলাকায় ভ্রমণ করতে পারবেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, এ টানেল পার্বত্য জেলার পাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটকদের বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং জানান, বান্দরবানে নির্মিত এ টানেল পর্যটকদের কাছে একটি দর্শনীয় স্থান হিসাবে পরিণত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বলে শেষ করা যাবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে আজ পাহাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। পর্যটকরাও এখানে এসে মুগ্ধ হচ্ছেন।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়