ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

বিলের পাড়ে হাঁসের খামার, লাভবান খামারিরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পিঠে নিয়েছেন ধানের বস্তা, ধীরে ধীরে হেঁটে যাচ্ছেন একজন। বস্তার মুখ খোলা রাখায় পড়ছে ধান। পুরো বস্তার ধান ছড়িয়ে দিচ্ছেন চারপাশে। সঙ্গে সঙ্গে প্যাকপ্যাক শব্দ করে ছুটে আসে প্রায় ২ হাজার হাঁস। হাঁসেদের প্যাকপ্যাক শব্দে মুখর হয়ে ওঠে ভাবিচা বিল।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভাবিচা বিলের পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামার। এসব খামারে হাঁস লালন-পালনে যেমন খরচ কম, তেমনি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার খামারিরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকালে ভাবিচা বিলে হাঁসের খামারে প্রায় ২ হাজার হাঁস প্যাকপ্যাক শব্দে ভেসে বেড়াচ্ছে বিলের পাশের খালের পানিতে। খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে দুজন লোক হাঁসের দেখভাল করছেন। খালের পাড়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী খামার। সেখানে একচালা ছোট ঘর করে থাকেন খামারি।

প্রতিবেদকের কথা হয় হাঁসের খামারি মো. আজাহার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দিনভর বিলে হাঁসগুলো ঘুরে ঘুরে খায় খাবার। বাড়তি খাবার দেওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। সকালে অল্প করে ধান খেতে দেওয়া হয়। এ ছাড়া খাল ও বিলকেন্দ্রিক খামারিদের হাঁস পালনে তেমন একটা খরচ নেই বললেই চলে। স্বল্প পুঁজি খাটিয়েই এই ব্যবসা করা যায়। তাতে লাভও ভালো হয় বলে জানালেন ওই খামারি।

শুধু ভাবিচা নয়, এমন চিত্র দেখা গেছে উপজেলার হরিপুর ও কালামারা বিলেও। হরিপুর বিলে হাঁসের খামারি বিদ্যুৎ দেওয়ান বলেন, ‘৫০০ হাঁস নিয়ে খামার করেছি। বিলের পানিতে হাঁস পালনে খরচ যেমন কম হয়, তেমনি খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। ডিম বিক্রি করেই লাভবান হওয়া যায়। তা ছাড়া পারিবারিক আমিষের চাহিদাও মেটে।

নিয়ামতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল লতিফ বলেন, হাঁসের মাংস বৃদ্ধিতে ও ডিম উৎপাদনে সুষম খাবারের প্রয়োজন। এসব হাঁস বিলে ঘুরেঘুরে প্রাকৃতিক খাবার শামুক, ঝিনুক, জলজ উদ্ভিদ ও ফসলের উচ্ছিষ্ট অংশ খায়। এসব খাবারের মধ্যে সুষম খাবারের ছয়টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। ফলে হাঁস খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে এবং ডিম দেয়। মানুষের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণে একটা বড় অবদান রাখছে এসব হাঁস। খামারিরাও কম খরচে এই হাঁস পালন করতে পেরে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়