শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে জিনোম সিকোয়েন্স প্রযুক্তি স্থাপন
অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে আইইডিসিআরের মাধ্যমে জিনোম সিকোয়েন্স প্রযুক্তি স্থাপনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দেশের ৭টি ল্যাবের মধ্যে শাবিপ্রবিতে প্রথম এই জিনোম সিকোয়েন্স প্রযুক্তি স্থাপন করেন আইইডিসিআর, আইদেশি এবং আইসিডিডিআরবি’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।
ল্যাব সূত্রে জানা যায়, আইইডিসিআরের মাধ্যমে পরিচালিত ‘জেনোমিক সার্ভিলেন্স অব সার্স কোভিড-২ অ্যান্ড ন্যাশনওয়াইড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অ্যাক্রস বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শাবিপ্রবির করোনা ল্যাবসহ দেশের আরও ৬টি ল্যাবে জিনোম সিকোয়েন্স প্রযুক্তি স্থাপন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য নির্বাচন করা হয়। শাবিপ্রবিতে এ প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে সিলেট বিভাগের সব জেলা থেকে সংগৃহীত সার্স কোভিড-২ ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সসহ অন্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার জিনোম সিকোয়েন্স করে মিউটেশনের গতিবিধি দ্রুত পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
দেশের বাকি ল্যাবগুলো হলো- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেন্স ল্যাব, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, খুলনা মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম বিআইটিআইডি।
ওয়েলকাম ট্রাস্ট ইউকের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় এই জিনোম সিকোয়েন্স প্রযুক্তি স্থাপন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এতে আইইডিসিআর, আইদেশি এবং আইসিডিডিআর,বি প্রকল্পের সক্ষমতা অর্জনে সার্বিক সহযোগিতা করছে।
প্রকল্পের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইদেশির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তানভীর হাবিব বলেন, ‘এটি হচ্ছে অক্সফোর্ড ন্যানোকর সিকোয়েন্সিং টেকনোলজি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিদিন ২৪টি জিনোম সিকোয়েন্স সম্ভব হবে। আমাদের দেশে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করেছে কি না, খুব সহজে এবং দ্রুত এর মাধ্যমে বলা যাবে। করোনার নতুন কোনো ধরন এলে সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি খুবই সহায়ক হবে।’
শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শাবিপ্রবিতে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব শুরু থেকে কাজের মাধ্যমে সারা দেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই আলোকেই গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা জিনোম সিকোয়েন্স প্রযুক্তি স্থাপনের আবেদন করি। এই প্রযুক্তি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার জায়গায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে সিলেট অঞ্চলের মানুষের সেবাদানেও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ভালোভাবে সাড়া দেবেন সংশ্লিষ্টরা।’
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- মাছ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সার্বিক সহযোগিতা করবে সরকার : মৎস্যমন্ত্রী
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে থাকছে রেকর্ড সংখ্যক পর্যবেক্ষক
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- 2024 election was the fairest since 1975: PM
- দ্রুত এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ
- সুষ্ঠু নির্বাচনে সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
- কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যান ১৫২ বাংলাদেশি
- মানবিক নারী পুতুল ও অটিস্টিক শিশুদের নতুন ভোর