ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

উপকারী গাছ ‘সিভিট’, রয়েছে নানা ঔষধি গুণাগুণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ১ এপ্রিল ২০২৪  

উপকারী গাছ ‘সিভিট’, রয়েছে নানা ঔষধি গুণাগুণ

উপকারী গাছ ‘সিভিট’, রয়েছে নানা ঔষধি গুণাগুণ

স্কার্ভি রোগ থেকে বাঁচতে বা শরীরে ভিটামিন ‘সি’-এর স্বল্পতা রোধে আমরা সিভিট নামক এক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু এই সিভিট সেই সিভিট নয়। এটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। সিভিট চিরসবুজ বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম swintonia floribunda। এটি Anacardiaceae পরিবারের উদ্ভিদ।

সিভিট গাছ পাঁচ থেকে সাত মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাতা সরল, লম্বাটে, অনেকটা আমপাতার মতো। এজন্য এ গাছকে আমচন্ডুল ও বলা হয়ে থাকে। এর বাকল উজ্জ্বল গোলাপি, অগভীর উলম্ব ফাটল বিশিষ্ট, মসৃণ, ধূসর বর্ণ, ব্লেজ গোলাপি। পাতা প্রশাখার প্রান্তদেশে গুচ্ছাকারে অবস্থান করে। কাঁচা অবস্থায় অবৃন্তক ড্রুপ জাতীয় ফল। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসে।

পাহাড়ি বনভূমিতে এই গাছ ভালো জন্মে। সিভিট গাছ দিয়ে নৌকা, সাম্পান ইত্যাদি তৈরি করা হয়। এ ছাড়া পরিপক্ব গাছ আসবাবপত্র, দিয়াশলাই কাঠি ও বক্স, ব্ল্যাকবোর্ড, ভিনিয়ার ও প্লাইউড, ফ্লাশডোর ও দরজা-জানালার ফ্রেম তৈরিতে কাঠ ব্যবহার করা হয়। তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সিভিট গাছের বীজে ৫ টি পাখা থাকে। পাকা বীজে বাতাস লাগলে এই রূপ প্যারাসুটের মত অবতরণ করতে থাকে। আর এ ভাবেই বীজ হাওয়াই ভেসে দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং বংশ বিস্তার করে।

সিভিট গাছ মায়ানমার, থাইল্যান্ড,  ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায় জন্মে। বাংলাদেশে সিভিট একটি বিপন্ন প্রজাতির দুলর্ভ গাছ এবং তেমন একটা গাছ দেখা যায় না। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পাহাড়ি বনাঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো স্বল্পসংখ্যক সিভিট গাছ বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। সিভিট গাছের অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। 

উপকারিতা:

১. সিভিট গাছের পাতা থেঁতো করে ক্ষত স্থানে লাগালে ক্ষত দ্রুত ভালো।
২. শরীরে জ্বালা পোড়া দেখা দিলে সিভিট গাছের ছাল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ সকাল বিকেল সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
৩. মুখে ঘা বা পায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিলে সিভিট গাছের ছাল সিদ্ধ করে এই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।
৪. সিভিট গাছের মূল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় দ্রুত ভালো হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়