ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কবিতা পর্ব: জীবনের উপন্যাস ও কোথায় দাঁড়াব আমি

এম এ রহমান

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ৩ অক্টোবর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জীবনের উপন্যাস

জীবনের ভাঁজ খুলে হতাশার নিশিরাত
জলজ চোখের স্বপ্ন বেয়ে ঝরে নীল জল
ভবিতব্য যাপনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হাঁটে ভয়
ফুসফুসে জমা হয় বেদনার নিকোটিন।

আর কতদিন? যন্ত্রণার প্রস্রবণ ব্যথা
সার্জিক্যাল চাকু ভয় ভাবনার দেহ ভাঁজে!
তবু বাঁচে ঝিঁঝি পোকা; তুমুল বৃষ্টির পরে
আত্মচিৎকারে কাঁপে গাঢ় অন্ধকার রাত।

জীবনের ঝরা পাতা নৈঃশব্দে বাজে মর্মরে
ঋতুচক্রে হেঁটে সময়েরা মাতে ভিন্ন গল্পে
আয়ুপথে হাহাকার জীবন যুদ্ধের রক্ত
জীবনের উপন্যাস থেমে থাকে না কখনো।

****

কোথায় দাঁড়াব আমি

কোথায় দাঁড়াব আমি? জীবনের খরস্রোতা নদী!
হৃদভূম ভেঙে যায় বেদনার নীলজল স্রোতে
জরায়ুর ঘর ভেঙে ছোট্ট ডিঙি নায়ে আমি একা
সময়ের ছেঁড়া পালে ভাসি গন্তব্যহীন গন্তব্যে।

পা বাড়ালেই শত পথ—তবু পথ খুঁজি পথে পথে
চোখ খুলে তাকালেই ঝলমল রঙিন পৃথিবী
তবু অন্ধত্বের চোখ আলোতে খুঁজে ফেরে আঁধার
জীবনের পথ খুঁজি ভুল মানুষের মানচিত্রে।

ক্ষুধার্ত চোখের ভাষা অনুবাদ করে নষ্টতত্ত্ব
মুঠো মুঠো সফলতা পঁচে যায় বদ্ধ করতলে
বিবেকের নগ্নদেহে চিত্র আঁকে নাগরিক চোখ
প্রশান্তির খোলাকাশে ভরে যায় নাগরিক ধোঁয়া।

কোথায় দাঁড়াব আমি? একটা খোলা আকাশ চাই
মুঠো মুঠো রোদ্দুরের আলোমাখা শুভ্রাকাশ
যেখানে সবুজ পৃথিবী-চোখ খুলে প্রকৃতির কোলাহলে
সোঁদা ঘ্রাণের মাটিরা শুষে নেয় নাগরিক নোনাজল।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়