ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

বিএনপির নেতারা হতাশ হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ২ মে ২০২৪  

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির অনেক নেতা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে, দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ।গতকাল বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মে দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

অতিরিক্ত গরমের জন্যও বিএনপি এখন সরকারকে দায়ী করছে, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব দোষ নন্দ ঘোষ। বজ্রপাতে মানুষ মরলেও বলে আওয়ামী লীগ দায়ী। আসলে তাদের বলার কিছু নেই। নেতাদের গলার জোর যত কমছে, মুখের বিষ তত বাড়ছে। তারা আরো উগ্র হয়ে উঠছে। কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ। কেউ কেউ আবার বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। এখনও আন্দোলনের হাঁক-ডাক। বিএনপি মুখে আনেদালনের কথা শুনলে ঘোড়ার মুখেও হাসি পায়।’    

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে জনগণ লাগে। জনগণ তাদের সাথে নেই। তাদের হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ। ২৩ নভেম্বরের রক্তের দাগ। ২১ আগস্টের রক্তের দাগ। শ্রমিক-কৃষকের রক্তের দাগ। এরা ক্ষমতায় আবার আসতে পারলে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দেবে রক্তস্রোতে।’ 

‘এই খুনি, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসীদের নেতা লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলনে চালাতে চায়। ওই রিমোট কন্ট্রোল নেতা এ দেশের মানুষ গ্রহণ করে না। সাহস থাকলে তারেক রহমান বাংলাদেশে রাজপথে আসুক। মোকবিলা হবে। লন্ডনে বসে বাংলাদেশে আন্দোলন হবে না। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে।’

বিএনপির নেতাদের মধ্যে কারো সাথে কারো মিল নেই, দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভেতরের খবর—একেক জনের একেক কথা। যাকে পছন্দ হয় না, তাকে বলে, সরকারের এজেন্ট। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে।’ 

‘এই বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চাই না। বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না। তারা নিজেরাই নিজেদের ভাঙন এবং পতন ঘটানোর জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু! বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর কোনো প্রয়োজন হবে না।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের লজ্জা-শরমও নেই। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সেদিন বলেছেন যে, একসময় মনে করতাম, বাংলাদেশটা আমাদের জন্য একটা বোঝা। আর আজকে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন, যে অর্জন, যে অগ্রগতি; এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখতে পায়। বিএনপিনেতারা কালো চশমা পরে, তারা দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের আঁধার দেখে।’

‘আজকে পাকিস্তানের টকশোতে আলোচনা হয়, আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আর বাংলাদেশে পাকিস্তানের দালালদের লজ্জা লাগে না। এরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, উন্নয়ন দেখতে পায় না। অবিরাম মিথ্যাচার, অপপ্রচার করে বেড়ায়। বিদেশিদের কাছে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করে।’

বিএনপিনেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কার কাছে নালিশ করবেন। যাদের কাছে নালিশ করতেন, তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকাতেও আরব বসন্ত। আরব বসন্তর নাম শুনেছেন? আরব বসন্ত আমেরিকায়। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় আজকে বিক্ষোভ করছে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে, আমেরিকায় ক্যাম্পাসগুলো উত্তাল। সাংবাদিকদের নৈশভোজে পেছনের দরজা দিয়ে উপস্থিত  হয় বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় এত উত্তাল কেন ফিরিস্তিনিদের পক্ষে? এই প্রতিবাদের কারণ কী? পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলে, এটা গণতন্ত্রের অংশ।’

‘অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, এই দেশ নাকি মানবতার দেশ। মাঝে মাঝে মনে হয়, মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ এখন আর ওয়াশিংটনের হাতে নেই। এখন মনে হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সবচেয়ে বড় নেতা।’ 

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়