আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত বেড়েছে
নিউজ ডেস্ক
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত বেড়েছে
সুদহারের সীমা তুলে নেওয়ার পর আমানত বেড়েছে দেশের নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর। সামগ্রিকভাবে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমানতের পাশাপাশি বেড়েছে ঋণ ও অগ্রিমও। ২০২৩ সালে ঋণ ও অগ্রিম ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকায়। তবে আমানত ও ঋণের ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধি মন্থর ছিল। ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে আমানতের প্রবৃদ্ধি দশমিক ২৪ শতাংশে রেকর্ড করা হয়েছিল। যেখানে আগের বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের তুলনায় একই ত্রৈমাসিকে ঋণ ও অগ্রিম বৃদ্ধি পেয়েছিল দশমিক ৫৭ শতাংশ। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৫টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার মধ্যে তিনটি সরকারি মালিকানাধীন। তাদের প্রায় ৩০৮টি শাখা রয়েছে এবং বেশির ভাগই শহরাঞ্চলে অবস্থিত। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৭০৫ টিতে। নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেয়াদি আমানতের ওপর উচ্চ সুদের কারণে গত বছরের জুলাই থেকে আমানত বাড়তে শুরু করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আগে প্রান্তিকে আমানতের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল। কিন্তু সুদহার বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন বিশাল তহবিল সংগ্রহ করছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, মোট আমানতের মধ্যে স্থায়ী আমানত প্রায় ৯৭ শতাংশ। ২০২৩ সাল শেষে স্থায়ী আমানত ৪৩ হাজার ৫১৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ২ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতের সিংহভাগই এসেছে বেসরকারি খাত থেকে। মোট আমানতের প্রায় ৯২ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যক্তিগত আমানত রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ হাজার ৩২১ কোটি টাকা। আমানতের বণ্টন হিসাব থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বরে মোট আমানতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বা ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ অবদান রেখেছে ঢাকা বিভাগ। ঋণ ও অগ্রিমের প্রায় ১০০ শতাংশ বেসরকারি খাতে গেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ৭৩ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ঋণ এবং অগ্রিম বেশিরভাগই শিল্প ও বাণিজ্য খাতে গেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে শিল্প খাতে। আর ব্যবসা-বাণিজ্যে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। ঋণ এবং অগ্রিমের সিংহভাগ (৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ) শিল্প খাতে খেলাপি হয়েছে, ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশে ব্যবসা-বাণিজ্যে। ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর শেষে নির্মাণ খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল।
- শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ অর্থনীতিতে আশা জোগাচ্ছে
- দেশের রিজার্ভ বাড়লো
- ১৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের রেকর্ড : বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য
- চলতি জানুয়ারি মাসে দৈনিক রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ডলার
- জনশক্তি রপ্তানির কার্যক্রম শতভাগ অনলাইনে হবে
- আরো দুই পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
- ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে ব্যাংক
- রফতানি আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ
- রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আরও একটি মাইলফলক
- ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছেন রোজায় দাম বাড়বে না : বাণিজ্যমন্ত্রী