নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আলুর প্রত্যাশিত দাম পেয়ে কৃষকের চওড়া হাসি
অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আলু চাষ করে ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে। গত তিন বছরের তুলনায় এবার আলুতে বেশি দাম পেয়ে গত বছরের সব লোকসান পুষিয়ে নিয়েছে তারা। কৃষি অফিস বলছে এ বছর আলুর দাম বেশি থাকায় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা আয় করেছে কিশোরগঞ্জের কৃষক।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার এ উপজেলায় ৪, ৬০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছিল ২১ টনের বেশি। প্রতি টন আলু বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা। সে হিসাবে এবার ৩৮০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে কৃষক।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারে আলু চাষে হেক্টর প্রতি উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আলুর দাম বেশি থাকায় প্রতি হেক্টরে উৎপাদিত আলু বিক্রি হয়েছে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত সে হিসাবে প্রতি হেক্টরে আলুতে কৃষক লাভ করেছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। হিসাব অনুযায়ী ৪৬০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষে খরচ হয়েছিল ১১৫ কোটি টাকা। আর বিক্রি হয়েছে ৩৮০ কোটি টাকা। আলু চাষে কৃষকরা উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে তিনগুন দামে বিক্রি করেছে।
উত্তর দুরাকুটি হারিবেচা পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, আমি ৮০ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছিলাম। প্রতি বিঘা জমিতে আমার আলু চাষ করতে ব্যয় হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সে অনুয়ায়ী আমার উৎপাদন ব্যয় হয়েছিল ৮০ বিঘায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার কিছু বেশি। আমি প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি হিসাবে বিক্রি করেছি। ৮০ বিঘায় আমার উৎপাদন ব্যায় বাদ দিয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা আয় হয়েছে।
বাহাগিলি ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের আলু চাষি মো. শামীম হোসেন বাবু বলেন, আমি এবার ২২ বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষ করেছিলাম। ২২ বিঘা জমিতে আমার ব্যায় হয়েছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উৎপাদন ব্যায় বাদ দিয়ে আমার লাভ হয়েছে ৮ লাখ টাকা।
এদিকে আলু ব্যবসায়ীরা এবার আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। আলু ব্যাবসায়ী সাদ্দাম মিয়া বলেন, যারা বড় কৃষক তারা জমি থেকে আলু উত্তোলন করে সরাসরি ঢাকার, বাইপেল, কাওরানবাজার, শ্যামবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে আলু নিয়ে গিয়ে সরাসরি বিক্রি করে। যারা ছোট কৃষক তাদের কাছ থেকে জমিতেই আলু কিনে আমরা বিভিন্ন খুচরা মোকামে বিক্রি করি। তিনি বলেন এবার আলুর বাজার ভালো থাকায় আমরা ব্যবসায়ীরা অনেক মুনাফা করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এবার ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। আলুর প্রত্যাশিত দাম ও ফলন দুটোই ভালো থাকায় কৃষকরা ৩৮০ কোটি টাকা আয় করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
- আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে: মেয়র টিটু
- ২ মন্ত্রী পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ
- কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে প্রাথমিক পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
- ময়মনসিংহের হোটেল ও রিসোর্ট এর তালিকা সমূহ
- ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বোধন হবে শতাধিক প্রকল্প
- ফের ময়মনসিংহ নগরীতে ভোটের হাওয়া
- ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলে প্রতিটি কাঁঠাল গাছে শোভা পাচ্ছে মুচি
- বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের সানজিদা
- ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মণ্ডা, স্বপ্নে পাওয়া মিষ্টির সুনাম ২০০ বছরেও কমেনি