নেত্রকোণায় জেলায় ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজায় উৎসুক জনতার ভিড়
নিউজ ডেস্ক
নেত্রকোণায় জেলায় ঐতিহ্যবাহী চড়কপূজায় উৎসুক জনতার ভিড়
চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আয়োজন করা হয় চড়কপূজা। গতকাল শনিবার বিকেলে পৌর শহরের দশভুজা বাড়ি মন্দির চত্বরে চড়কপূজা অনুষ্ঠিত হয়।এই পূজার বিশেষত্ব হলো—খালি পায়ে ভক্তরা আগুনের মধ্য দিয়ে হাঁটাচলা করেন, পিঠে বিশাল আকারের বরশি গেঁথে চড়ক গাছে ঝুলে থাকেন।
সংশ্লিষ্টজনেরা জানান, চড়কপূজা মূলত শিব ঠাকুরের পূজা। এ পূজায় অংশগ্রহণকারীরা চৈত্র মাসে বাড়ির বাইরে শিবমন্দিরে অবস্থান করেন। এ সময় তাঁরা লাল কাপড় পরে সন্ন্যাসীর মতো বিশেষভাবে জীবন যাপন করেন। তাঁদের ভক্ত বলা হয়ে থাকে। তাঁরা শিব ও গৌরী সাজিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাজনের গান গান। এ সময় মানুষ তাঁদের চাল-সবজি ও আর্থিকভাবে সহায়তা দিয়ে থাকেন। এই সহায়তা দিয়ে চড়কপূজার আয়োজন করা হয়।
চড়কপূজার দিন তান্ত্রিক মন্ত্র দ্বারা একজন সন্ন্যাসীর পিঠে লোহার বড়শি গেঁথে চড়কগাছে বেঁধে ঘোরানো হয়। সন্ন্যাসীদের ভাষ্য—আধ্যাত্মিক শক্তির বলে এ ধরনের শারীরিক কসরত করতে পারেন তাঁরা।
এই চড়কপূজা দেখতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা দেখে হাজারো ভক্ত মন্দির চত্বরে জড়ো হয়। উপজেলার বাইরে থেকেও বিভিন্ন মানুষ আসে এই পূজায় আশীর্বাদ নিতে।
চড়কপূজা কমিটির পরিচালক আনন্দ ঋষি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দশভুজা বাড়ি মন্দির চত্বরে চড়ক পূজা করে আসছি। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে আমরা এই চড়ক পূজাকরি। প্রতিবছরই চরক ঘোরানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন জনের মনোবাসনা পূর্ণসহ অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে সনাতন ধর্মের লোকজন চলে আসে এই পূজায়। ধর্মীয় এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে ভক্তদের আর্থিক সহযোগিতায় এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।’
- আগামী ৯ মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে: মেয়র টিটু
- ২ মন্ত্রী পেয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ
- কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচরে প্রাথমিক পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
- ময়মনসিংহের হোটেল ও রিসোর্ট এর তালিকা সমূহ
- ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বোধন হবে শতাধিক প্রকল্প
- ফের ময়মনসিংহ নগরীতে ভোটের হাওয়া
- ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলে প্রতিটি কাঁঠাল গাছে শোভা পাচ্ছে মুচি
- বিবিসির ১০০ নারীর তালিকায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের সানজিদা
- ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার মণ্ডা, স্বপ্নে পাওয়া মিষ্টির সুনাম ২০০ বছরেও কমেনি