ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনায় সাজসাজ রব

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ৮ নভেম্বর ২০২৩  

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনায় সাজসাজ রব

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনায় সাজসাজ রব

প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা খুলনায় যাচ্ছেন সোমবার ( ১৩ নভেম্বর)। ওই দিন দুপুর ২টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনা জেলা ও মহানগর  আওয়ামী লীগ নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে দলটির সহযোগী সংগঠনগুলো প্রস্তুতি সভা করেছে। নগরসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। মাইকে করা হচ্ছে প্রচার। নগরের বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে তোরণ। ব্যানার-ফেস্টুনে পাল্টে গেছে নগরের চিত্র। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতেও দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের সাজসজ্জা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনায় অবস্থান করছেন।

সফরকে ঘিরে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যক্তিগত প্রচারে জোর দিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভাকে ঘিরে দলীয় প্রধানের দৃষ্টি কাড়তে কয়েক কোটি টাকার তোরণ, ব্যানার আর প্যানাফ্লেক্স নির্মাণ করেছেন দলটির নেতাকর্মী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ সমাবেশের কারণে বিভাগের ১০ জেলায় দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আরও উজ্জীবিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে তারা দফায় দফায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর আশা তাদের।

প্রধানমন্ত্রীর আগমণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. রেদওয়ান মারুফ বলেন, আগামী ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা খুলনা আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গোটা খুলনা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনাকে বরণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এখানকার নেতাকর্মীরা। স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।

তিনি আরও বলেন, একজন ভিশনারি নেতা কেমন হতে পারে এটা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেখলেই বোঝা যায়। দক্ষিণবঙ্গ কে ঘিরে যে উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে সেই যাত্রার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা। পদ্মা সেতু ঘিরে যে উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়েছে আগামী ৪/৫ বছরের মধ্যে তা জানান দিবে। বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোল এদিকে মোংলা বন্দর এই কেন্দ্র করে যে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা হচ্ছে এই পরিকল্পনাকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার বলেন, খুলনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সহ দক্ষিণ অঞ্চলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা উচ্ছ্বাসিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৩ তারিখ খুলনার জনসভা সফল করতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দক্ষিণ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে নেতাকর্মীরা। খুলনা জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জেলা থেকে উপজেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে গ্রামে গ্রামে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। রূপসা ঘাট থেকে ফুলবাড়ি গেট, জিরো পয়েন্ট থেকে জেলখানা ঘাট বিস্তৃত হবে এই জনসভা, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপির  এই প্রত্যাশা সফল করতে খুলনা জেলা ছাত্রলীগ সর্ব শক্তি নিয়োগ করে মাঠে আছে এবং থাকবে।

খুলনা-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু বলেন, খুলনা-৩ আসনের সকল মানুষ খুব উচ্ছ্বাসিত প্রধানমন্ত্রীর আগমণের কারণে। কেননা খুলনা -৩ আসন সহ খুলনা সিটিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, আইসিটি এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে উন্নয়ন ঘটেছে সবকিছু মিলে একটি আধুনিক সিটিতে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য যে পূর্ব প্রস্তুতি দরকার তার সমস্ত কাজ সম্পন্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার কারণে খুলনার বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ সকল বয়সী মানুষ ১৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমনকে কেন্দ্র করে খুলনায় সাজসাজ রব বিরাজ করছে। ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। ওই দিনের জনসভা হবে স্বাধীনতা পরবর্তী স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়