ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

বদলে গেছে পিছিয়ে পড়া জেলা ঠাকুরগাঁও

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২০, ২২ আগস্ট ২০২৩  

বদলে গেছে পিছিয়ে পড়া জেলা ঠাকুরগাঁও

বদলে গেছে পিছিয়ে পড়া জেলা ঠাকুরগাঁও

আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে বদলে গেছে সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের দৃশ্যপট। যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠি পাচ্ছে সার্বিক সেবা। 

উত্তর সীমান্তের ছোট্ট জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্য প্রায় দুশ’ বছরের। উন্নয়ন খতিয়ানে এ জেলার ইতিহাস যেমন নিষ্প্রভ তেমনি গণমানুষের অর্থনীতিও ছিল অনালোকিত। পিছিয়ে পড়া সেই ঠাকুরগাঁওয়ের চেহারা ক্রমশ পাল্টেছে গেল ১৫ বছরে। কৃষি অর্থনীতি থেকে শুরু করে অবকাঠামো নির্মাণে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। আর এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের চেঞ্জ মেকার শেখ হাসিনার বদৌলতে।

সরকারের সুষম উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে গোটা দেশ। পিছিয়ে নেই ঠাকুরগাঁও। আর্ত-সামাজিক, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে এই সর্বউত্তরের জেলাতে। আর তাই সরকারের ধারাবাহিকতা চায় এই জেলাবাসী।স্থানীয় সরকারের হিসেব বলছে, ২০০৮ সালে পাকা রাস্তা ছিল ৪৫০ কিলোমিটার। আর এখন এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার। 

স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনা আমাদের রাস্তা করে দিয়েছেন, এজন্য আমরা কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে পারছি, কলেজ-স্কুলে যেতে পারছি। রাস্তাটা হওয়ার পর আমাদের অবস্থা খুবই ভালো। 

জেলা শহরে পণ্য বিক্রি করবে এমন কাঙ্ক্ষিত সড়কের অভাব ছিল মারাত্মক। রাস্তাঘাট-হাটবাজার উন্নয়নের কারণে পাল্টে গেছে কৃষকের ভাগ্য। এখানকার আলু, করলা, আম রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। 

সমতলের চা বাগানে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রায় খালি পড়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সদিচ্ছায় গেল বছরে এক হাজার ৪৫৭ একর জমিতে শুরু হয়েছে চায়ের উৎপাদন। 

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, “এই সময়ে ঠাকুরগাঁওয়ের যে উন্নয়ন এটা অভূতপূর্ব। কৃষিপ্রধান অঞ্চলে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৎস্য, পানিসম্পদ, গ্রামীণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ প্রত্যেকটা সেক্টরে ঠাকুরগাঁওয়ের দৃশ্যমান উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে।”

উৎপাদনে রয়েছে ১১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র। ঠাকুরগাঁওয়ের বিদ্যুৎ যাচ্ছে অন্য জেলাতেও। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে পালটে গেছে শিশু শিক্ষার ধরণ।  

শিক্ষকরা জানান, ছাত্রীদের উপস্থিতি অনেকটা বেড়ে গেছে।এক ছাতার নিচে সরকারি ২১টি সেবা মিলছে পৌরসভা কার্যালয়ে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, উপবৃত্তি পেয়ে জীবনমান উন্নত হয়েছে প্রান্তিক মানুষের। এলাকাবাসী অল্পদিনের মধ্যেই সুফল পাবেন খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ড. এএম ওয়াজেদ মিয়া প্রকৌশল কলেজ থেকে। 

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়