লন্ডনে হাওয়া ভবন-২ গড়ে তুলেছেন তারেক
নিউজ ডেস্ক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
দুর্নীতি, অর্থ পাচার, গ্রেনেড হামলা, হত্যাসহ কয়েকটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে পালিয়ে আছেন। কোনো চাকরি বা ব্যবসা ছাড়া কিভাবে তিনি বিলাসী জীবনযাপন করছেন? এ প্রশ্ন অনেকেরই।
বিএনপির কোনো নেতা লন্ডনে তারেক রহমান ও তার পরিবারের বিলাসী জীবন ও আয়ের উৎস সম্পর্কে কিছু বলতে চান না। অনেকের ধারণা লন্ডনে বসে বাংলাদেশে বিএনপি নেতাদের দিয়ে চাঁদাবাজি করান তারেক। সেই টাকায় লন্ডনে আরাম-আয়েশে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি জানা গেছে আরেকটি গোপন তথ্য। তারেক রহমান ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে ভোঁতা মালেক গড়ে তুলেছেন বিশাল মাফিয়া সিন্ডিকেট। অনেকেই যার নাম দিয়েছেন হাওয়া ভবন-২। এই তারেক-মালেক গং মূলত লন্ডন থেকে বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সূত্র জানায়, ২০০১ সালে হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল বাংলাদেশের মানুষ ও প্রশাসন। তখন হাওয়া ভবনই ছিল প্রশাসনের চালক। এবার সেই পুরনো কায়দায় যুক্তরাজ্যেও হাওয়া ভবন-২ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তারেক রহমান। যারা দেশে বড় অংকের চাঁদা দিয়ে বিএনপির পদ-পদবি কিনতে পারেন তাদের নামই হাওয়া ভবন-২ এর গুডবুকে লেখা থাকে। তারাই হয়ে ওঠেন বিএনপির নিয়ন্ত্রক ও নীতি নির্ধারক।
আরো জানা গেছে, তারেকের হাওয়া ভবন-২ সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করছেন পুরনো হাওয়া ভবনের অনেক সদস্য। তারা বিএনপির বিভিন্ন কমিটি গঠন ও নির্বাচন নিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। এসব কমিটি ও মনোনয়ন বাণিজ্য থেকে আসা মোটা অংকের টাকা তারেক রহমানের কাছে পাঠান এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সেই টাকায় লন্ডনে পরিবার নিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছেন তারেক রহমান।
গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে ভোঁতা মালেকের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। ভোঁতা মালেক নিজ জেলা সিলেটেও সিন্ডিকেট বাণিজ্য চালিয়েছেন। পদ দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকেই নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। বছর খানেক আগে টাকা দিয়েও পদ না পাওয়ায় সিলেটে ভোঁতা মালেকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা। পরে হাওয়া ভবন-২ সিন্ডিকেটের হস্তক্ষেপে রক্ষা পায় মালেকের পরিবার। এছাড়া লন্ডনে তারেক রহমান শুধু ক্যাসিনোতে জুয়া খেলে ও মদ খেয়ে সময় কাটায়। আর সবকিছু সামাল দেন ভোঁতা মালেক।
এদিকে, টাকা দিয়েও পদ না পেয়ে বিএনপি ছেড়েছেন অনেকেই। তারা বলেন- বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনীতির মাঠে থাকতে হয় না। ‘তারেক ভাইয়ার’ সিন্ডিকেটকে ম্যানেজ করলেই চলে। আর সিন্ডিকেটের সুনজরে না থাকলে রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার হতে হয়। ঘরে মাদক রেখে ফাঁসানো, হামলাসহ নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাসও রক্ষা পাননি তারেক-মালেক সিন্ডিকেটের গ্রুপিং থেকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, তারেক রহমান এখন চাঁদাবাজি নিয়ে ব্যস্ত। দল ও দেশের জনগণ নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। অরাজনৈতিক ও কালো টাকার মালিকদের বিএনপিতে পদ-পদবি দিয়ে নিজ হাতে দলকে শেষ করেছেন তারেক। আর নিজে লন্ডনে বসে চাঁদাবাজির টাকায় বিলাসী জীবনযাপন করছেন। ফলে বিএনপি বারবার আন্দোলন-সমাবেশ করেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারছে না।
- মানুষ গতকাল বিএনপির ভয়ংকর চেহারা দেখেছে: প্রধানমন্ত্রী
- প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আগমন নিয়ে বেড়েছে গুজবকারীদের ষড়যন্ত্র
- বিএনপি জনগণের কাছে যায় না, দূতাবাসে ঘুরে বেড়ায় : তথ্যমন্ত্রী
- প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহে নামছে আওয়ামী যুবলীগ
- বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ায়: শেখ হাসিনা
- ভোট চুরি জিয়াউর রহমানই শুরু করেছে: প্রধানমন্ত্রী
- আবার জঙ্গি হামলা করতে কাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএনপি?
- উন্নয়নের পথে বাধা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন: আব্দুল হাই আকন্দ - প্রথম আলো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করছে : সেতুমন্ত্রী