ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ১১ মার্চ ২০২৪  

হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা

হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা

হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের আম চাষিরা। জিআই পণ্য হিসেবে এই আম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সরাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার খবরে আনন্দিত তারা। রংপুরের শতরঞ্জির পর এবার জিআই পণ্যের তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে হাঁড়িভাঙা আম। বৈরী আবহাওয়া না হলে এবারও সাধারণ আমের পাশাপাশি হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রয়েছে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম। এবার ফলন বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রংপুর সদর, পালিচড়া, বদরগঞ্জের শ্যামপুর, মিঠাপুকুরের খোড়াগাছসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এই এলাকার ছোট বড় বাগানগুলোতে দেখা গেছে গাছজুড়ে আমের মুকুল। সদ্য মুকুল ফোটার এমন দৃশ্য এখন শুধু বিস্তৃত গ্রামীণ জনপদেই নয়, শহরের গাছে গাছেও সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল।

মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ ইউনিয়নের জারুল্লাপুর গ্রামের আম চাষি রুবেল মিয়া জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু করে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আমের মুকুল এলে কৃষকরা আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঝড় কিংবা বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে। হাঁড়িভাঙা আম এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

রংপুরের অর্থনীতিতে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে হাঁড়িভাঙা। যা শিগগিরই জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান।

তিনি বলেন, রংপুরে প্রতিবছর হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়। এবার হাঁড়িভাঙা আম নিয়ে সুখবর রয়েছে। কারণ জিআই পণ্য ঘোষণা হওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে হাঁড়িভাঙার আম জিআই পণ্যে রূপান্তরিত হওয়ার অফিশিয়াল ঘোষণা আসবে।

গত বছরের চেয়ে এবার হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বল জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।

তিনি বলেন, গত অর্থবছরে রংপুর অঞ্চলে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এই বছর হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি আসবে। কারণ গত বছর যেই বাগানগুলো ছোট ছিল সেগুলোর ফল ধরবে এবং আমের উৎপাদন শুরু হবে। যার কারণে গত বছরের চেয়ে এই বছরে হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়