ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

সুবিধার আওতায় আসবে ২ হাজার হেক্টর জমি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

সুবিধার আওতায় আসবে ২ হাজার হেক্টর জমি

সুবিধার আওতায় আসবে ২ হাজার হেক্টর জমি

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পাথরাজ সেচ প্রকল্প সংস্কার করে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। চলতি অর্থবছরের শুরুতে সাময়িকভাবে সেচনালা সংস্কার কাজ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ একর জমি সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বাঁধের তিনটি সেচনালার সংস্কার কাজ শেষ হলে বর্ষা মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে এই বাঁধের পানি দিয়ে দুই হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসবে।

পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৫ সালে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের হরিপুর মৌজায় পাথরাজ বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। আমন মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে খরা মোকাবিলায় সম্পূরক সেচ প্রদান করার জন্য প্রকল্পটি তৈরি করে ইপি ওয়াপদা। প্রকল্পটির ৯ ডেন্ট গেট সমন্বিত ব্যারেজ, দুটি রেগুলেটর ও তিনটি সেচনালা বিদ্যমান। প্রকল্পটির সেচযোগ্য এলাকা দুই হাজার হেক্টর জমি। পাথরাজ নদীর পানি দিয়ে ময়দানদীঘি এলাকার হরিপুর, লাঙ্গলগাঁও ও পাশ্ববর্তী ঝলই শালশিরি গ্রামের জমিতে সেচ প্রদান করা হতো। ১৯৮৫ সালের বন্যায় প্রকল্পটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেচকাজ ব্যাহত হয়। পরবর্তীতে পাথরাজ নদীর পানির স্বল্পতা, নিয়মিত মেরামত কাজ না হওয়ায় দীর্ঘদিন প্রকল্পটি হতে এলাকার মানুষ সেচ সুবিধা বঞ্চিত ছিল। এলাকার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড পুনরায় পাথরাজ বাঁধ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে। গত ৩০ আগস্ট হতে একটি সেচনালার ৫০ ফুট ব্যারেজের স্পিলওয়ে মেরামত কাজ করার পর থেকেই বাঁধের পানির উচ্চতা তিন ফুট বৃদ্ধি পায় এবং ডান সেচনালা দিয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকায় বাঁধের উজানের ২৫০ একর জমি ইতোমধ্যে সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে।

লাঙ্গলগাঁও গ্রামের কৃষক হরিচরণ রায় জানান, পাথরাজ বাঁধ বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে আমার কয়েক বিঘা অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান আবাদ করতে পারছিলাম না। এবার সেচনালা সংস্কার করার পর আমি দুই বিঘা জমিতে আমনের চারা লাগিয়েছি। বাঁধটি পুরো মেরামত করা হলে আমার মতো অনেক কৃষক তাদের জমিতে আমন ধান আবাদ করতে পারবে।

পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোষ বর্মণ জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জমি ফসল উৎপাদনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পাথরাজ বাঁধ মেরামতের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে এলাকার মানুষ সেচ সুবিধা পাওয়া শুরু করেছেন। পাথরাজ বাঁধ প্রকল্পের তিনটি সেচনালার ৯ কিলোমিটার এলাকায় সংস্কার কাজ করার জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরের শুরুর দিক থেকেই আমরা পুরো বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করতে পারব।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়